শিরোনাম:
চন্দ্রগঞ্জ বাজার পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা মাঈন উদ্দিন হামীম স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ চন্দ্রগঞ্জ আইডিয়াল একাডেমিতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সুমাইয়া মেমোরিয়াল স্মৃতি বৃত্তি প্রদান লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো শাহআলম চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা চন্দ্রগঞ্জে মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আলোচনায় ফজলুর রহমান বাবু ও বীনা আক্তারের “তুমি আমার মনের মানুষ” বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তোফায়েল আহম্মদের মৃত্যুতে সৌদি প্রবাসী বিএনপির দোয়া ও আলোচনা সভা লক্ষ্মীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মদ পাঠাগার উদ্ধোধন বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মেদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া জিয়া সৈনিকদলের পূর্নাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা

মেঘনার ভাঙন রোধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
  • 301 Time View

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। যার ফলে বসতভিটা, কৃষি জমি, বাজার, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনাসহ চরম আতঙ্কে রয়েছেন দুই উপজেলার প্রায় ৭ লাখ মানুষ। অবিলম্বে নদী ভাঙন রোধ না করলে দেশের মানচিত্র থেকে উপজেলা দুটির বিশাল অংশ মুছে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট এলাকায় মানববন্ধন করে স্থানীয়রা। মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

এ সময় মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙন থেকে উপজেলা দুটিকে রক্ষার দাবি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন- কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুস সাত্তার পালোয়ান, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতলব, কমলনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শামছুল আলমসহ আরও অনেকে।

বক্তারা বলেন, গত ২০ বছর ধরে মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে কমলনগর ও রামগতি উপজেলার ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ৩১টি বড় হাট বাজার, ৩৫টি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা, ৩০টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, ৫২টি মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার, ৪০০ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা রাস্তা, ৩৭ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ, ৫০ হাজার একর ফসলি জমি, ৪৫ হাজার ঘরবাড়িসহ কয়েক হাজার কোটি টাকার সরকারি-বেসরকারী স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন দুই উপজেলার প্রায় ৭ লাখ মানুষ। তাই অবিলম্বে নদী ভাঙন রোধে বাপাউবো চিহ্নিত ৩২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
এছাড়াও নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে স্রেতের চ্যানেল পরিবর্তন এবং ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে স্থানীয় মানুষ ও মাটিকে রক্ষা করতে হবে। তা না হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কমলনগর ও রামগতি নামের এই দুটি উপজেলা দেশের মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares