শিরোনাম:
চন্দ্রগঞ্জ বাজার পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা মাঈন উদ্দিন হামীম স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ চন্দ্রগঞ্জ আইডিয়াল একাডেমিতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সুমাইয়া মেমোরিয়াল স্মৃতি বৃত্তি প্রদান লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো শাহআলম চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা চন্দ্রগঞ্জে মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আলোচনায় ফজলুর রহমান বাবু ও বীনা আক্তারের “তুমি আমার মনের মানুষ” বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তোফায়েল আহম্মদের মৃত্যুতে সৌদি প্রবাসী বিএনপির দোয়া ও আলোচনা সভা লক্ষ্মীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মদ পাঠাগার উদ্ধোধন বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মেদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া জিয়া সৈনিকদলের পূর্নাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা

পুলিশের ফর্মা হিসাবে পথচলা শুরু করলেও বর্তমানে মাদক বিক্রি করে দশ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, নভেম্বর ২০, ২০২৪
  • 463 Time View

ক্রাইম রিপোর্ট:

পুলিশের ফর্মা হিসেবে জীবনের পথচলা শুরু করলেও বর্তমানে পুলিশের সাথে সখ্যতা ও মাদক বিক্রি করে দশ কোটি টাকার উপরে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন মোতালেব নামের এক পুলিশের সোর্স(ফর্মা) ও মাদক বিক্রেতা মোতালেব।

এছাড়া জোর করে অন্যের জমি দখল সহ পুলিশের সাথে স্বৈরাচার সরকার পতনের সময় সাধারণ মানুষকে হত্যার গুরুতর অভিযোগ ও রয়েছে এই কথিত ফর্মার বিরুদ্ধে ।

সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার অবৈধ সম্পদ তদন্ত করার জন্য একটি অভিযোগ জমা দেয়া হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, তুরাগ থানা এলাকায় দশ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদের মালিক ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলা নির্জন গ্রামের অসীম উদ্দিনের ছোট ছেলে ফর্মা মোতালেব, বর্তমানে যার কামারপাড়া এলাকায় একটি আলিশান বাড়িসহ তিনটি প্লট রয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক গাড়িসহ সুদের টাকার অবৈধ ব্যবসা ও রয়েছে।

অপর এক সূত্রে জানা যায়, পিতা অসীম উদ্দিন অভাবের সংসারে ঢাকার উত্তরা এলাকায় একটি দোকানে কর্মচারী হিসেবে চাকুরী নেয় মোতালেব, পরবর্তীতে চাকুরীর সুবাদে তেজগাও এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে তার গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে, ও মাদক ব্যবসায়ে জড়িয়ে পড়ে।

এছাড়া মাদকের বড় চালান ডেলিভারিসহ মাদকের সেলম্যান হিসেবে কাজ শুরু করে সে, বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে মাদকসহ গ্রেফতার হলেও মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনে।

এখানেই শেষ নয়,মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়া নিরীহ মানুষদেরকে থানা পুলিশ পুলিশের হয়রানীসহ অস্ত্র মামলা দেওয়ার ও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এবং পুলিশের সাথে তার একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠার কারণে একটি সন্ত্রাসী দলের সিন্ডিকেট প্রধান হয়ে রাম রাজত্ব শুরু করেন তিনি।

অনুসন্ধানে জানা যায়,মোতালেব বাহিনী আবদুল্লাহপুর বস্তিতে অবৈধভাবে ওখানকার বস্তিবাসীর উপর মাদক ব্যাবসাসহ নানান কর্মকান্ডের মাধ্যমে নিপিড়নসহ অমানুষিক নির্যাতন করে। যারা তার কথা শুনতো না তাদের সাংসারিক মালামাল সহ টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেওয়া ছিল নিত্য দিনের কাজ। এবং যারা বাধা দিতে আসতো তাদেরকে মাদক ও অস্ত্র দিয়ে অন্যায়ভাবে নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিতো এই সন্ত্রাসী।
এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আমির হোসেন আমু একটি জায়গা সন্ত্রাসী কায়দায় জোর করে দখল করে নেয়। এছাড়া আমির হোসেন আমুর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় এবং এই নেতার কাছ থেকে মাসিক মাসোয়ারাসহ তার নাম বিক্রি করে ও চলতো।

এছাড়া মোতালেব রাজধানীর বড় ব্যবসায়ীর নাম বিক্রি করে সে এবং তাকে শুশুর হিসেবে পরিচয় দিতো বলে জানা যায়। জানা যায় তার বাহিনীতে রয়েছে আব্দুল হাকিম, রিয়াজ, কবির, হামিদ, উজ্জলসহ নাম না জানা আরো অনেকে।

এখানেই শেষ নয়, জুলাই মাসের ছাত্র আন্দোলনে আমির হোসেন আমুর নির্দেশে মোতালেব তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দিয়ে আবদুল্লাপুর ও মিরপুর এলাকায় কোটা আন্দোলনরতো ছাত্রদের উপর গুলি চালায় এবং পুলিশের সাথে থেকে গুলি করার অনেক হত্যাসহ বেশ কয়েকজন হতাহত হয়। এই বিষয়ে মোতালেব ও তার বাহিনীর নামে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা হয়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে, মোতালেব মুঠোফোনে নিজের পরিচয় গোপন করে নিজেকে মোতালেবের ভাই পরিচয় দেয়, এবং এই প্রতিবেদককে বলে মামলার তদন্ত পুলিশ করবে এটা কি সাংবাদিকদের কাজ, এবং প্রতিবেদকের সাথে ক্ষিপ্ত ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares