সম্প্রতি দেশের নন্দিত চিত্রনায়িকা মৌসুমী শিল্পী সমিতিতে সহশিল্পীর দ্বারা অপমানিত হয়েছেন। একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই নায়িকাকে শারীরিকভাবে আঘাতও করা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিদায়ী কমিটির নির্বাহী সদস্য ও স্পষ্টভাষী হিসেবে পরিচিত অভিনেতা নানাশাহ। তিনি বলেন, ‘একজন প্রার্থীকে প্রকাশ্যে এভাবে লাঞ্ছিত করা কোনোভাবেই এটা সভ্যতার সঙ্গে যায় না। এ ঘটনাকে তিনি ‘পেশীশক্তি’র বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করছেন।
নানাশাহ বলেন, সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত একটা ঘটনা যা আগের ঘটনার পুনারবৃত্তি। ওদের মাঝে হিংসা কাজ করছে। টেকনিক্যালি তারা মৌসুমীকে অপমান করেছে। এ ব্যাপারে কারো নাম বলছি না। তবে খুব বড় অন্যায় হয়েছে। ভুলে গেলে চলবে না এর আগেও দেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানকে অন্যায়ভাবে মারা হয় তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই ঘটনা।
অতীত নির্বাচনী সংস্কৃতির ইতিহাস তুলে ধরে নানা বলেন, আমি আগেও মাহমুদ কলি, আহমেদ শরীফ ভাইদের সঙ্গে নির্বাচন করেছি কিন্তু এমন মারমুখী আচরণ দেখিনি। এখন ছাড় দেওয়ার মানসিকতা কারো মাঝে নেই। চিন্তার কথা হচ্ছে মিশা-জায়েদের প্যানেলে যেসব মুরুব্বি যেমন ফারুক মাসুদ পারভেজের মতো বরেণ্য অভিনেতাদের ছত্রছায়ায় যদি এসব ঘটনা ঘটে তবে সাধারণ শিল্পীরা যায় কোথায়? তাদের উচিৎ ছিল নিরপেক্ষ থাকা অথচ দেখছি এর উল্টোটি।
কিন্তু সাধারণ সভায় আপনার বিরুদ্ধে মিশা-জায়েদ অরাজকতার অভিযোগ এনেছিল। হ্যাঁ মূলত ওই সময় মৌসুমী, ওমর সানী, শাকিব, কমলসহ বেশকিছু শিল্পীদের বয়কট করার হুমকি দিলে এর প্রতিবাদ করে বলেছিলাম প্রকৃত দোষী যে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। তখন শাকিবকে বয়কটের দাবি তোলে তারা। তার অপরাধ তিনি বলেছিলন ‘যখন ন্যাংটা ছবি বানানো হয়েছিল তখন ‘সাহেবরা’ কোথায় ছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা শব্দটির ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বরেণ্য অভিনেতা ফারুককে উত্তেজিত করে তুলেছিল।
বছর তিনেক আগে জাজের সঙ্গে ফারুকের বাসায় সেদিন কি হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে নানাশাহ বলেন, একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমি মনে করেছি চলচ্চিত্র পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া আমার দায়িত্ব। আমি সে দায়িত্ব পালন করতে গিয়েও দোষী হয়েছি। তারা সবাই মিলে একজন ব্যস্ত প্রযোজকের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগলো এসবতো আর অগোচর নয়।
মৌসুমীর প্যানেল দিতে ব্যর্থতা ‘রাজনীতি’ বলে দাবি করেছেন এই অভিনেতা। তিনি বলেন, এটা বাজে উদাহরণ হয়ে থাকলো। মুরবিবরা চাইলেই সেটা হতে পারতো। যারা মৌসুমীর সঙ্গে থাকবে বলে কথা দিয়েছিল শেষপর্যন্ত তারাও সরে গেল আমি বলব তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে যেন বিনা নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেলটি আবার থাকতে পারে। ঘটনা যাই ঘটুক মুরুবিব শিল্পী যারা আছেন তাদের উচিৎ বিষয়গুলো আরও নিরপেক্ষভাবে দেখা। কিন্তু সেটা হচ্ছে কই? সুত্র : আজকালের খবর
Leave a Reply