আসন্ন রমজানের আগেই দ্রব্যমূল্যের বাজারে ঊর্ধ্বগতি। যার ফলে বেড়েছে মূল্যস্ফীতিও। মার্চে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি মাসে যা ছিল ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এই সময়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য প্রকাশ করেন।
ব্রিফিংয়ে বিবিএস মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন জানান, খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি কমেছে। তবে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে গ্রামীণ পর্যায়ে মূল্যস্ফীতির শতকরা হার দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৩৮ ভাগ, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ২৬ ভাগ। শহর পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি হার ৫ দশমিক ৮৬ ভাগ, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ৮৫ ভাগ।
মূল্যস্ফীতির হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মাছ, মাংস, শাক-সবজি, ভোজ্য তেল, ফলমূল ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের মূল্য মার্চে বেড়েছে। খাদ্যের বাইরে পরিধেয় বস্ত্র, চিকিৎসা সেবা, পরিবহনসহ বিভিন্ন পণ্যের দামও এই মাসে বেড়েছে।
গত এক বছরের (২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের মার্চ) চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৪৮ ভাগ। এর এক বছর আগে (২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের মার্চ) চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৮২ ভাগ।
Leave a Reply