জানা যায়, ২৩৯নং গণিপুর মৌজার জিলা জরিপি ৩০৮ খতিয়ানের মালিক ছিলেন মেহের আলী ও আবিদ মিয়া। মেহের আলী ত্যাজ্যবিত্তে পুত্র আলী আজ্জম। ২৭০ দাগে ৩৫ শতক ভূমি দাগে পিতার অংশ ও আবিদ মিয়ার ছেলে মেয়েদের নিকট হতে বিভিন্ন তারিখের কবলা মূলে মালিক আলী আজ্জম ও তার স্ত্রী লজ্জুতের নেছা।তৎধারাবাহিকতায় এস এ বা এম আর আর জরিপে ২৭৭নং খতিয়ানে ২৭০ দাগে ষোল আনা ৩৫ শতক ভূমি আলী আজ্জম ও লজ্জুতের নেছার নামে শুদ্ধরুপে রেকর্ড প্রচারিত হয়। তৎমর্ম মোতাবেক ওয়ারিশ ও জেরওয়ারিশ হিসেবে সাহাব উদ্দিন গং, আব্দুল মতিন গং ভোগ দোখলকার আছে। বিগত মাঠ জরিপে, জরিপ কর্মচারীগণ ভূলক্রমে অনুপস্থিত খতিয়ান রেকর্ড লিপি করেন। সাহাব উদ্দিন গং ও আবদুল মতিন গং ২০/১১/২০১৯ইং তারিখে স্থানীয় পৌর তহসিল অফিসে খাজনা দিতে গেলে জানতে পারে যে, ভূমিগ্রাসী গণিপুর নিবাসী হাজ্বী রহমত উল্যাহর পুত্র মোরশেদ আলম, মো. নুর আলম ও মো. হানিফ এর নামে উক্ত দাগে জমাখারিজ করিয়া নিয়ে যায়। নথি নং- ৩৯৬৯/১২,১৩ মোতাবেক ০৯/০৬/২০১৩ইং তারিখ আদেশে ১৬৭১নং জমা খারিজ খতিয়ান সৃজিত হয়। তদসূত্র ধরে সাহাব উদ্দিন গং ও আবদুল মতিন গং দলিল তল্লাশি দিয়া দেখা গেল যে, হাজ্বী রহমত উল্যাহর পুত্র মো. মোরশেদ আলম গংয়ের নামে বেগমগঞ্জ এসআর অফিসে ৭১৮৪নং দলিল ২৭/৮/২০১২ইং সনে সৃজন করেন। উক্ত দলিলের ভায়া দলিল যাহা নোয়াখালী জেলা রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ের রেকর্ড রুম তল্লাশি করিয়া দেখা যায় যে, ২৩/১১/১৯৫৩ইং সনে বেগমগঞ্জ এস.আর অফিসে ৭৩৬৩নং দলিলটি বর্তমানে সোনাইমুড়ী সাবেক বেগমগঞ্জ বরল্লা মৌজার জমিন হয় ও দাতা গ্রহীতা ভিন্ন ব্যক্তি হয়। এবং ৩০/১২/১৯৫৮ইং সনে ১২৩৬৪নং কোন দলিল নাই মর্মে তল্লাশী রিপোর্ট পাওয়া যায়। কিন্তু ভূমি দস্যু ও কুচক্রী ভূমিগ্রাসী সক্রিয় সিন্ডিকেট বালামপত্র বিহীন দলিল সৃজন করে ভূয়া মালিকানা সাজিয়ে বেগমগঞ্জ এস.আর অফিসে ২৭/৮/২০১২ইং তারিখে ৭১৮৪নং দলিলটি সৃজন করিয়ে সাহাব উদ্দিন গং ও আবদুল মতিন গংদের মালিকীয় দখলীয় ভূমি প্রতারণার দলিল দিয়ে জমা খারিজ হাসিল করে। তাই সাহাব উদ্দিন গং ও আবদুল মতিন গং উক্ত জমা খারিজের বিরুদ্ধে আপত্তি দিলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়ের বরাবরে আবেদন করেন। আবেদনটি তদন্তে করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চৌমুহনী পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিনকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
উক্ত পৌর ভূমি কর্মকর্তা উভয় পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে অবহিত করেন। এবং ধার্য তারিখ ০১/০১/২০২০ইং তারিখে কাগজপত্র নিয়ে আসার নোটিশ প্রদান করেন। উভয় পক্ষ কাগজপত্র নিয়ে হাজির হন। এবং উভয় পক্ষের দলিল ফিরিস্তি ভূমি কর্মমর্তা জমা রাখেন। ১৬/১/২০২০ইং তারিখে পূণধার্য তারিখ দেন। উক্ত ধার্য্য তারিখে উভয় পক্ষের কাগজপত্র শুনানি হয়। বিবাদি মোরশেদ আলম গংদের বিতর্কিত দলিলগুলো বালামে আছে মর্মে চ্যালেঞ্জ করেন হাজ্বী রহমত উল্যাহ এবং মোরশেদ আলম এবং তল্লাশি করার জন্য ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন উভয় পক্ষকে মাইজদী জেলা রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে রেকর্ড রুমে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে দলিল তল্লাশি বালাম দেখার জন্য নির্দেশ দেন। উক্ত নির্দেশ মোতাবেক বাদী ও বিবাদী উভয় ১৯/০১/২০২০ইং তারিখে একসাথে মাইজদী জেলা রেজিষ্ট্রার রেকর্ড রুমে তল্লাশিকারক বেল্লাল হোসেনের নিকট তল্লাশি করিয়া বালামপত্র দেখা যায় যে, বিবাদী মোরশেদ আলম গংদের বায়া ২৩/১১/১৯৫৩ইং তারিখে ৭৩৬৩নং দলিল বালামে নাই ও ৩০/১২/১৯৫৮ইং তারিখে ১২৩৬৪নং দলিল বালামে নাই। বালামবিহীন তঞ্চক দলিল সৃজন করিয়া সাহাব উদ্দিন ও আবদুল মতিন গংদের নৃষ্কন্টক জমিন গ্রাস করার পাঁয়তারা করে।
একই ভাবে হাজ্বী রহমত উল্যাহ গং হিন্দুদেরকে অত্যাচার করে তাদের জায়গা জোর করে দখল করে জ্যোতি লাল ঘোষ, পরিমল ঘোষ তাদের জায়গা হাতে বানানো জাল দলিল দিয়ে দখল করে। যা ৩১ ধারা রায় পাওয়ার পরেও তাদের জায়গা জোর করে দখল করে রাখে। নুর আলম গং তাদের নিকট ৬ শতাংশ জায়গা ১২ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে ৫ শতক জায়গা বুঝিয়ে দিয়ে সে নিজে ১ শতক জোর করে ভবন নির্মাণ করে দখল করে রাখে। যা চৌমুহনী পৌরসভায় অভিযোগ দায়ের করিলে তা বিচারাধিন রয়েছে। চৌমুহনী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কালামদের নিকট জমি বিক্রি করে টাকা নিয়ে তাদেরকে জায়গা রেজিষ্ট্রি না করে দিয়ে তালবাহানা করে যার মামলা কোর্টে চলমান আছে। সে তার আপন মামাত ভাইয়ের কাছে জমি বিক্রি করবে বলে টাকা নিয়ে রেজিষ্ট্রি না করে তালবাহানা করলে চৌমুহনী পৌরসভায় অভিযোগ দায়ের করিলে তা বিচারাধিন রয়েছে। আব্দুল মান্নানের জায়গা জাল দলিল সৃজন করে তাদের জায়গা জোর করে দখল করিলে তখন তারা আদালতে মামলা করে তাদের জায়গা উদ্ধার করে।
তার হাত থেকে মাদ্রাসার জায়গা পর্যন্ত রক্ষা পায়নি, যা তিনি নিজে জোর করে দখল করে রাখে। খুরশিদ আলমদের সাথে কবরস্থানের জায়গা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে তিনি জোর করে কবরেরস্থানে জায়গার উপর ভবন নির্মাণ করে। তার অত্যাচারে মসজিদের ইমামরা পর্যন্ত শান্তিতে থাকতে পারেনা। তার কথা না শুনলে তিনি বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ইমাম মুয়াজ্জিনদেরকে। নানা রকম ষড়যন্ত্র করে তাদের মসজিদ থেকে বিতাড়িত করে এবং মসজিদ কমিটিতে তাকে না রাখলে সে কমিটির বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্র করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে ব্যাহত করে। তার অত্যাচারে আশপাশের মানুষ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তিনি এলাকাতে ভূমিগ্রাসী হিসেবে চিহ্নিত। তিনি মোটা অংকের টাকা দিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মানুষের জায়গা জোর করে দখল করে। তিনি চৌমুহনীতে সরকারি জায়গা দখল করে অল্প দিনে হঠাৎ আঙ্গুল ফুলিয়ে কলা গাছ হয়ে গেছে। হাজ্বী রহমত উল্যাহ বিভিন্ন সময় মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। তার হাত থেকে বাঁচার জন্য এলাকার ভূক্তভোগী সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দুদকসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হাজ্বী রহমত উল্যাহর সাথে কথা বলতে মোবাইলে কল করলেও পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply