একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আবাদি জমি, ক্ষুদ্রচাষি ও বর্গাচাষিদের জমি পারত পক্ষে না নেওয়ার নির্দেশনাই ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, যতটা সম্ভব জমি না অধিগ্রহণ করেই উন্নয়নের চেষ্টা করবেন। যদি একান্তই না পারেন তবে ভূমির দাম কয়েক গুণ বাড়িয়ে এবং যথাযথ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেই অধিগ্রহণ করবেন বলে সাফ জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, শিল্পায়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ান সম্ভব নয়। তবে শিল্পায়নের নামে অবাধে আবাদি জমি অধিগ্রহণ করবেন না। তবে জাতীয় স্বার্থে একান্ত বাধ্য হয়ে তা যদি করতে হয়, তাহলে জমির মালিককে কয়েকগুণ দাম এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেই তবে নিতে হবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ বিষয়ের (আবাদি জমি) উপর জোরালো নির্দেশনা দেন তিনি।
এছাড়াও উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকদের প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় থেকে দায়িত্ব পালনেরও নির্দেশ দেন।
বৈঠকে মিরসরাইয়ে ভারতীয় অথনৈতিক অঞ্চল স্থাপন প্রকল্পসহ মোট ৭টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক। মোট ১৮ হাজার ১৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে চলতি অর্থবছরের ২০তম একনেক সভায় এ প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়।
নতুন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে আখাউড়া সিলেট সেকশনের মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের নতুন কার্যালয় ভবন ও অডিটোরিয়াম নির্মাণ।
Leave a Reply