ইসলাম ডেস্ক :
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের এ বছর থাবা বসিয়েছে মুসলমানদের পবিত্র হজে। তাই সৌদি আরবে সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে এবারের হজের আনুষ্ঠানিকতা। গতকাল বুধবার (২৯ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া হজে সর্বোচ্চ ১০ হাজার লোক উপস্থিত থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ সৌদি নাগরিক ও ৭০ শতাংশ সৌদি প্রবাসী বিদেশি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে মহামারির কারণে এবার অন্য দেশ থেকে মক্কা গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরব। তবে দেশটিতে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের মধ্য থেকে সীমিত সংখ্যক এই ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।
হজের লাইভ ভিডিওতে দেখা যায় মক্কায় তাওয়াফ করছেন আগত হজ পালনকারীরা। এ সময় সবাইকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেও তাওয়াফ করতে দেখা গেছে। অনেকেই পবিত্র কোরআন শরীফ পাঠ করছেন আবার অনেককে দেখা গেছে প্রার্থনা করতে।
মহামারির কারণে এবারের হজের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি জারি করেছে সৌদি আরবের জাতীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
বিধি অনুযায়ী, হজ পালনকারীরা কাবা শরিফে ও কালো পাথরে চুমু খেতে বা স্পর্শ করতে পারবেন না এবং শয়তানের উদ্দেশে পাথর ছুঁড়ে মারার জন্য আগে থেকে জীবাণুমুক্ত প্যাকেটজাত পাথর ব্যবহার করতে হবে। হজ পালনকারী ও হজে দায়িত্বপালনকারীদের অবশ্যই সুরক্ষা মাস্ক পরতে হবে এবং তা ব্যবহার শেষে সুনির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।
হজযাত্রীদের উত্তম সেবা দেয়ার জন্য এ বছর মিউনিসিপ্যালিটি নিয়োগ দিয়েছে কমপক্ষে ১৮ হাজার ৪৯০ জন কর্মী। হজের পবিত্র স্থানগুলোসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২৮টি নতুন ও পূর্ণাঙ্গ সরঞ্জামে সুসজ্জিত সার্ভিস সেন্টার বসানো হয়েছে। এসব স্থানে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে কমপক্ষে ১৩ হাজার ৫০০ পরিচ্ছন্নকর্মী। পবিত্র মিনায় স্থাপন করা হয়েছে ৮৭ হাজার ৯০০ আন্ডারগ্রাউন্ড আবর্জনার কন্টেইনার।
মার্কেট, খাবার দোকান ও রেস্তোরাঁয় নজরদারি করতে কাজ করবে বেশ কিছু টিম ও কমিটি। তারা নজর রাখবেন মুদি দোকান, রেস্তোরাঁ, ক্যাফেটেরিয়া, সেলুন, লন্ডি, বেকারি ও অন্যান্য সেবাখাতে। তারা নিয়মিত খাবারের মান পরীক্ষা করবে এবং নষ্ট জিনিসপত্র ধ্বংস করে ফেলবে। দাম দেখাশোনা করবে।
পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা দেখাশোনা করবে। পশুদের মধ্যে কোনো মহামারি আছে কিনা তা নির্ধারণে কাজ করবে তারা। এছাড়া মক্কা মিউনিসিপ্যালিটি বিদ্যুৎ, সড়ক যোগাযোগ, টানেল, ব্রিজ, টয়লেট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা দেখাশোনা করবে। অগ্নিকাণ্ড অথবা ভারী বর্ষণে করণীয় নির্ধারণ করবে তাদের জরুরি ইউনিট।
Leave a Reply