বিশেষ প্রতিনিধি :
পৈত্রিক সম্পত্তি অংশ না দিয়ে উল্টো মামলা করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার মোহন পাটোয়ারি নামে এক সৎ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে জেলা শহরের একটি পত্রিকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগটি করেন এমরান হোসেন। তিনি উপজেলার মধ্য ভাদুর গ্রামের মৃত. মুনছুর আহম্মদের ২য় স্ত্রী’র ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় উপজেলার মধ্য ভাদুর গ্রামের মৃত. মুনছুর আহম্মদ দুটি বিয়ে করেন। সম্প্রতি সে মৃত্যুকালে ২.৯৮ একর সম্পত্তি রেখে যান। ওই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে দুটি সংসারে বিরোধ চলে আসছে।
মুনছুর আহমদের ১ম সংসারের মোহন পাটোয়ারিসহ চার ছেলে ও ৪ মেয়ে এবং ২য় সংসারে এমরানসহ ২ ছেলে ও ৫ মেয়ে রয়েছে। বাবা মুনছুরের মৃত্যুর পর আইন অনুযায়ী জমির অর্ধেক অংশ পাওয়ার কথা তার ওয়ারিশরা। কিন্তু সেটি সমানভাবে না দিয়ে মোহন পাটোয়ারীসহ অন্যরা ভোগ করছেন। সম্পত্তির ভাগ চাইলেই বিভিন্ন সময় এমরানদের বিভিন্ন সময়ে মারধর করে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে তারা। সম্প্রতি এমরানের মা শামছুন্নাহার (মুনছুরের ২য় স্ত্রী) মারা যাওয়ার ৪ দিন পরেও তাদের আবারো মারধর করতে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ নিয়ে থানায় এমরান ও তার ভাই বোনদের আসামী করে মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছেন। বর্তমানে তারা সবাই জামিনে রয়েছেন। সম্প্রতি ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২ জনকে বাদ দিয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এক্ষেত্রে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মহসিন ঘুষ চেয়ে তা না পেয়ে চুড়ান্ত প্রতিবেদন না দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন বলে তারা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন। তবে পুলিশ কর্মকর্তা তা অস্বীকার করে বলেন ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়, হাসপাতালের সনদ (মেডিকেল সার্টিফিকেট) ও সরেজমিন তদন্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি পেতে হলে, মোহনদের দিতে হবে নগদ ত্রিশ লাখ টাকা। অথবা ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি। এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়, মামলা ও হামলা করে তাদের হয়রানি করছেন সৎ ভাইরা বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, এমরানের বোন নেছপুন নাহার, নাজমা আক্তার, সাজেদা বেগম, ভাই মিজানুর রহমান ও তাদের দখলকৃত (আংশিক অংশ) জমির বর্গাচাষী দেলোয়ার হোসেন দেলু।
Leave a Reply