নিজস্ব প্রতিবেদক :
এক শ্রমিক পরিবারের বাড়ির তিন দিকে গভীর খাল তৈরি করে তাদের চলাচলের পথ অবরুদ্ধ করার অভিযোগ ওঠেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভুক্তভোগী বাড়ির মালিক ইউছুফ পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নং ওর্য়াডের তোরাবগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী ইউছুফ তোরাবগঞ্জ গ্রামের আনোয়ারুল হকের ছেলে এবং পেশায় ইটভাটার শ্রমিক। অন্যদিকে অভিযুক্ত মো: রফিক একই গ্রামের বাসিন্দা এবং সদর উপজেলার কুশাখালি ইউনিয়নের ঝাউডগি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
সরেজমিনে গিয়ে একটি বাড়ির তিনদিকে নতুন মাটি কেটে খালের ন্যায় গভীর নালা তৈরি হতে দেখা গেছে। গভীর নালার নিচে পানি জমা রয়েছে। নালা তৈরির ফলে পেছনের একটি বাড়ির বাসিন্দাদের চলাচলের পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বাসিন্দারা বাড়ি থেকে ঠিক মতো বের হতে পারছে না।
নালা তৈরির ফলে উল্টো ওই বাড়ির আড়া বেড়া ওই নালায় ভেঙ্গে পড়া এবং বর্ষা মৌসুমে নালার পানিতে পড়ে শিশুদের জীবনহানির শঙ্কার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বাড়ির মালিক ইউছুপের স্ত্রী মুরশিদা বেগম।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, তোরাবগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা ইউছুপ প্রতিবেশী আলমগীর থেকে ১৬ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি তৈরি করেন। প্রায় ৪ বছর যাবত তিনি পরিবার নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করে আসছেন।
বাড়ির বাসিন্দা মুরশিদা বেগম জানান, শিক্ষক মো. রফিকের ভাই দক্ষিণ কোরিয়া বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম নুরুল আমিনের নিকট থেকে ক্রয় করা দুই শতাংশ জমির ওপর দিয়ে তাদের বাড়ির চলাচলের পথ ছিল। নুুরুল আমিন প্রবাসে থাকার কারণে ওই ২শতক জমির রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন হয়নি। নুরুল আমিন কোরিয়ায় মৃত্যুবরণ করার পর তার ছেলে শিবলু ও স্ত্রী রহিমা ওই দুইশত জমি রেজিষ্ট্রি দিবে বলে আমাদের পরিবার থেকে ২০ হাজার টাকা নেন। কিন্ত এর মাঝে গত কয়েক দিন আগে রফিক মাস্টার লোকজন দিয়ে আমাদের বাড়ির পথ কেটে ফেলে। বাঁধা দিলে আমাকে পিটিয়ে আহত করে। শেষে আমাদের বাড়ির তিন দিকে গভীর নালা তৈরি করে। এখন স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি রফিক মাস্টার নাকি আমাদের দুই শতাংশ জমিসহ নুরুল আমিনের নামের জমিটি কিনেছে।
এসময় তিনি অভিযোগ করে আরো জানান, রফিক মাস্টার এখন আমাদের বাড়ি তার নিকট বিক্রি করে চলে যাওয়ার জন্য নানা বাভে চাপ দিচ্ছে। কিন্ত আমরা অসহায় কোথায় যাবো ? কিভাবে এখানে থাকবো?
এ বিষয় জানতে চাইলে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ রতন জানান, ইটভাটার শ্রমিকের স্ত্রী মুরশিদা বেগম আমাকে বিষয়টি জানানোর পর আমি ওই শিক্ষককে পরিষদে আসার জন্য খবর দিয়েছি। কিন্ত সে নানা ব্যস্ততা দেখিয়ে আসেন নি। তিনি আরো জানান, ব্যক্তি সম্পত্তি হলেও কারো চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়া অমানবিক।
Leave a Reply