বিশেষ প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর বানিজ্যিক শহর চৌমুহনীতে মাদকের ছড়াছড়ি। শহরের কয়েকটি স্থানে মাদকের কেন্দ্রস্থল। এ সব স্থান থেকে শুধু চৌমুহনী শহরে নয়, জেলার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে। এতে য়ুব শ্রেণী অহরহ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। এসব যুবকেরা নেশার টাকা যোগাড় করার জন্য ছিনতাই,সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চাঁদাবাজি, ইভটিজিংসহ নানাবিধ অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।
চৌমুহনী নোয়াখালী বানিজ্যিক শহর ও প্রথম শ্রেণীর এ ক্যাটাগরির পৌরসভা। শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও স্থানীয় লোকজনের অভিযোগে জানা যায়, শহরের ৮ নং ওয়ার্ডের মিয়ার পোল থেকে দক্ষিন এলাকা। ৯ নং ওয়ার্ডের ইসলামিয়া মাদ্রাসার দক্ষিন এলাকা। ৪ নং ওয়ার্ডের গোলাবাড়িয়া ও করিমপুর এলাকার নেত্রকোনাসহ আশপাশ এলাকা। তাছাড়া একই ওয়ার্ডের রেল স্টেশন থেকে আটিয়াবাড়ি ব্রিজ এলাকায় মাদকের ডিপো হিসাবে চিহ্নিত। এসব মাদক বিক্রেতাদের পেছনে রয়েছে রাঘব বোয়ালরা। পুলিশ অনেক সময় কিছু কিছু সেবনকারী ও বিক্রেতাদের ধরে নিয়ে গেলেও রাঘব বোয়ালরা তাদেরকে ছাড়িয়ে আনতে যাবতীয় ব্যবস্থা করে থাকে। এছাড়াও শহরের মন্ডল পাড়া, রসিদের দোকান, বেগমগঞ্জ পোলের উত্তর ও দক্ষিনের বস্তি এলাকা। চৌরাস্তার উত্তরে কালা পোলের পাশের বস্তি, রেল স্টেশনের কোয়াটার সমূহ মাদক বেচাকেনা ও সেবনের উত্তম স্থান। এর ফলে যুবক শ্রেণী মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকের টাকা যোগাড় করতে ছিনতাই চাঁদাবাজিসহ নানান অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।
চট্রগ্রাম থেকে মাইক্রোবাস, বিয়ের গাড়ি সাজিয়ে, এ্যাম্বুলেন্সে রোগী শুইয়ে, বাস বা বিভিন্ন কায়দায় ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদক চৌমুহনীতে এনে মজুত করে থাকে। এখান থেকে শুধু বেগমগঞ্জ উপজেলায় নয়, পুরো নোয়াখালী জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে।
চৌমুহনী শহর ছাড়াও বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর বাজার ও আশপাশের এলাকা, আমানউল্যাপুর, আলাইয়ারপুরের বিভিন্ন এলাকা, ছয়ানি, রাজগঞ্জ, রমজানবিবি, কুতুবপুর, জমিদারহাট, পরানবিবিরহাট, কাজীর হাট, মিরওয়ারিশপুরের আমিনবাজার, বারোই হাট,ও কেন্দুর বাগ বাজার, নরোত্তমপুরের পন্ডিত বাজার, মজুমদার হাট, জিরতলী বাজার ও আশপাশ এলাকায় মাদক বিক্রেতাদের স্বর্গরাজ্য হিসাবে পরিচিত। এসব মাদক বিক্রেতারা চৌমুহনীর মাদক বিক্রেতাদের নিকট থেকে মাদক নিয়ে থাকে।
এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান শিকদার জানান, মাদকের ব্যাপারে কোন প্রকার ছাড় নেই। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে মাদকমুক্ত করতে হলে রাজনৈতিক ও সামাজিক সহযোগিতা অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু এলাকায় এলাকায় মাদক বিরোধী কমিটি গঠন করলেও আশানুরুপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
Leave a Reply