বিশেষ প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আঁধার মানিক গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হচ্ছে।
আজ রবিবার দুপুরে সদর মডেল থানাধীন পুলিশ ক্যাম্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান। এ সময় আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর/সার্কেল) মিমতানুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন প্রমুখ। তেওয়ারীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক হোছাইন ভুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইউপি সদস্য, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বলেন, আধাঁর মানিক এলাকাটি সদর থানা থেকে প্রায় ২০ কি. মি. দূরে অবস্থিত। এছাড়া চন্দ্রগঞ্জ, কমলনগর থানা এবং নোয়াখালী জেলার সীমান্ত এলাকা এটি। তাই সদর থানা থেকে এসে এ এলাকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ রাখা একটু সমস্যা হচ্ছিলো। এলাকাবাসীর দাবি ছিলো- এ এলাকায় একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হোক। তাই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের জন্য ৬০ শতাংশ জমি দান করেছেন।
এলাকার বিত্তশালী, দানবীর ও পুলিশের নিজস্ব অর্থায়নে ক্যাম্পের ভবন নির্মাণ করা হবে। ক্যাম্পটি চালু হলে প্রায় লক্ষাধিক জনগণ আইনী সহায়তা পাবে। সন্ত্রাস এবং মাদক নির্মূল করে আঁধার মানিক এলাকাকে একটি শান্তির জনপদ হিসেবে গড়া হবে। জমি দাতা এবং ক্যাম্প নির্মাণে যারা সহযোগিতা করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান এসপি।
জমিদাতা চেয়ারম্যান ওমর ফারুক হোছাইন ভুলু জানান, এলাকার আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নের লক্ষে ক্যাম্প স্থাপনের জন্য আমি এবং আমার ভাই অনুপম হোছাইন ৬০ শতাংশ জমি দান করেছি। এ এলাকার যে কোন উন্নয়ন মূলক কাজে আমাদের সহযোগীতা থাকবে। ভূমি অফিস বা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে যতটুকু জমির প্রয়োজন আমরা দিতে প্রস্তুত আছি।
এদিকে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আঁধার মানিক গ্রামটি একটি দূর্গম এলাকা। সম্প্রতি এখানে একাধিক হত্যা ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এখানে সন্ত্রাসী, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, মারামারি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড সংঘটিত হয়। তাই পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন হলে অপরাধ কমবে এবং এলাকার মানুষ পুলিশি সেবা পাবে।
Leave a Reply