খেলার খবর ডেস্ক :
ব্রাজিলকে কাঁদিয়ে কোপার শিরোপা জয় মেসিদের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তুলেছে আলবিসেলেস্তেরা। সেই সঙ্গে কোপায় সবচেয়ে বেশি (১৫টি) শিরোপা জেতার রেকর্ডে উরুগুয়ের সঙ্গী হলো আর্জেন্টিনা। ফলে শিরোপার জন্য আর্জেন্টিনার দীর্ঘ ২৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল।
এর আগে সর্বশেষ ১৯৯৩ সালে কোপা তথা বড় কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতার স্বাদ পেয়েছিল তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই একের পর এক জোরাল আক্রমণ করতে থাকে ব্রাজিল। যার সুবাদে ম্যাচের ৫২ মিনিটেই পেয়ে যায় গোলের দুর্দান্ত সুযোগ।
ডি-বক্সের মধ্য থেকে সেটি কাজেও লাগিয়েছিলেন রিচার্লিসন। কিন্তু আক্রমণের শুরুতে তিনি অফসাইডে থাকায় বাতিল করা হয় গোল। ফলে ম্যাচের ৫৩ মিনিট শেষেও ১-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
৫৪ মিনিটের মাথায় পারেদেসকে তুলে নিয়ে রডরিগেজকে মাঠে নামায় আর্জেন্টিনা। ৫৫ মিনিটের মাথায় রিচার্লিসনের আক্রমণ প্রতিহত করেন আর্জেন্টিনা গোলকিপার মার্টিনেজ।
৬৩ মিনিটে লো সেলসোকে তুলে নিয়ে ট্যাগলিয়াফিকোকে মাঠে নামায় আর্জেন্টিনা। ৬৩ মিনিটে এভার্টনকে তুলে নিয়ে ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে মাঠে নামায় ব্রাজিল। ৬৮ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন আর্জেন্তিনার ডি’পল। ৭০ মিনিটের মাথায় ডি’পলকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলের রেনান লোদি। ৭১ মিনিটে পাকুয়েতার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ম্যাচ। ৭২ মিনিটের মাথায় ট্যাগলিয়াফিকোকে ফাউল করার জন্য রেফারি হলুদ কার্ড দেখান ব্রাজিলের পাকুয়েতাকে। ৭৬ মিনিটে রেনান লোদি ও পাকুয়েতাকে তুলে নিয়ে ব্রাজিল মাঠে নামায় এমার্সন ও বারবোসাকে।
৭৯ মিনিটে একসঙ্গে তিনজন পরিবর্ত ফুটবলারকে মাঠে নামায় আর্জেন্টিনা। রোমেরো, ডি মারিয়া ও এল মার্টিনেজকে তুলে নিয়ে আর্জেন্টিনা মাঠে নামায় পেজেল্লা, পালাসিয়স ও গঞ্জালেজকে। ৮১ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্জ দেখেন আর্জেন্টিনার ওতামেন্দি। ওতামেন্দির চ্যালেঞ্জের পর আগ্রাসী আচরণের জন্য ৮২ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলের মারকিনহোস। ৮৩ মিনিটে পেজেল্লার আক্রমণ ব্যাহত হয় ভিনিসিয়াসের পায়ে। ৮৩ মিনিটের মাথায় ২৫ গজ দূর থেকে দানিলোর শট ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে উড়ে যায়। ৮৫ মিনিটের মাথায় নেইমারের কর্ণার কিক থেকে হেডে আর্জেন্টিনার জালে বল জড়ানোর চেষ্টা করেন থিয়াগো সিলভা। তবে তার হেডার ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়। ৮৯ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন আর্জেন্টিনার মন্তিয়েল। তার আগে ৮৭ মিনিটের মাথায় বারবোসার শট প্রতিহত করেন আর্জেন্টিনা গোলকিপার মার্টিনেজ।
৮৯ মিনিটের মাথায় গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মেসি। ৬ গজ দূরত্ব থেকে ব্রাজিলের গোলকিপারকে পরাস্ত করলেই আর্জেন্টিনা লিড বাড়িয়ে নিতে পারত। সুযোগ নষ্ট করেন মেসি। দ্বিতীয়ার্ধে ৫ মিনিট সময় সংযোজিত হয়। ৯০+৩ মিনিটে ডি’পলের আক্রমণ প্রতিহত করেন এডারসন। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শেষে ডি মারিয়ার একমাত্র গোলে জয়ী আর্জেন্টিনা।
এর আগে ২১ মিনিটের মাতায় ডি মারিয়ার একমাত্র গোলের সুবাদে প্রথমার্ধের খেলা শেষে এগিয়ে থাকার স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
আজ রবিবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় রিও দে জেনেরিওর বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ফুটবল বিশ্বের অন্যতম চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দুটি।
ব্রাজিল সেমিফাইনালের অপরিবর্তিত প্রথম একাদশ নিয়েই ফাইনালে মাঠে নেয়। এমনকি তাদের বদলি ফুটবলারের তালিকাও অপরিবর্তিত। তবে আর্জেন্টিনা প্রথম একাদশে একসঙ্গে পাঁচটি রদবদল করে। রিজার্ভ বেঞ্চে পাঠানো হয় জেল্লা, গঞ্জালেস, মলিনা, তাগলিয়াফিকো ও রদ্রিগেসকে। প্রথম একাদশে ঢুকেন আকুনা, রোমেরো, মন্তিয়েল, পারেদেস ও ডি মারিয়া।
আর্জেন্টিনা একাদশ : দামিয়ান মার্টিনেজ, ওটামেন্দি, আকুনা, মন্টিল, রোমেরো, দি পল, পেরেসিস, লো সেলসো, মেসি, দি মারিয়া, লাউতারো মার্টিনেজ।
ব্রাজিল একাদশ: এডারসন, থিয়াগো সিলভা, ড্যানিলো, মারকুইনহোস, রেনান লোদি, ক্যাসেমিরো, ফ্রেড, এভারটন, লুকাস পাকুয়েতা, রিচার্লিসন, নেইমার।সুত্র:বিডি প্রতিদিন
Leave a Reply