শিরোনাম:
চন্দ্রগঞ্জে যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল চন্দ্রগঞ্জে সামাজিক উদ্যোগে ফয়েজের কর্মসংস্থান লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত। প্রতিদিনের খবর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি। প্রতিদিনের খবর বেগমগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অম্যান্য করে সম্পত্তি জবর দখল। প্রতিদিনের খবর পাঁচপাড়া আদর্শ সমাজ কল্যাণ পাঠাগার মিনিবার ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন হানিফ মিয়াজীর বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন চন্দ্রগঞ্জে নিরাপদ সড়ক চাই উপলক্ষে বণার্ঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা চন্দ্রগঞ্জে “শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের” নতুন কার্যালয় উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের মতবিনিময় সভা

লক্ষ্মীপুরে কৃষকের গাছ কেটে লাখ টাকার ক্ষতি

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, আগস্ট ১১, ২০২১
  • 438 Time View

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি,
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম চরমনসা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে প্রভাবশালী বাহার ও তার লোকজন একই গ্রামের কৃষক আবুল কালামের মৎস্য প্রজেক্টের বাঁধা ও আইলের ফল গাছ, সবজির গাছ কেটে প্রায় লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ পাওয়াগেছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

কৃষক আবুল কালাম ও গ্রামবাসী সূত্রে জানাযায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম চরমনসা গ্রামের আবুল কালাম ও নুরুজ্জামান চৌধুরীর মধ্যে আরএস ২০৩৪ খতিয়ান ভুক্ত ডিপি ৭৯৯ দাগের জমি খরিদ নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। উক্ত দাগের ৬৫ শতাংশ জমিনের মধ্যে আবুল কালাম ১৭ বছর আগে মুল মালিক থেকে স্ত্রী পেয়ারা বেগমের নামে খরিদ করে ভোগ দখল করে আসছেন বাকী পরিত্যক্ত ৫ শতাংশ জমিন নুরুজ্জামান চৌধুরী ২ বছর আগে খরিদ করে আবুল কালামের দখলি জমিতে দখল নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এ জমিতে আবুল কালাম চার পাশ্বের আড়া বেঁধে তাতে নানা জাতের ফলের গাছ ও করলা, বরবটি সহ নানা জাতের সবজি চাষ করে
এবং জমিতে মাছ চাষ করে। সবজি গাছ গুলোতে বাম্পার ফলন শুরু হয়। শুক্রবার দিবাগত ভোর রাতে নুরুজ্জামান চৌধুরীর পুত্র বাহার ও জাকিরের নেতৃত্বে ৫/৬ জন আবুল কালামের লাগানো ফল ও সজবির গাছ গুলো কেটে ফেলে। এবং পানি পাইব গুলোর মুখ খুলে দিলে বেশ কিছু মাছ বের হয়ে যায়। এ ঘটনাটি পার্শ্ববর্তী বাড়ির মিলন বেগম দেখে ফেলে চিৎকার শুরু করলে তারা পালিয়ে যায়।

এতে আবুল কালামের প্রায় লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। স্থানীয় মসজিদ কমিটি ও সমাজের সভাপতি মোহাম্মদ উল্যাহ, ব্যবসায়ি বাবুলসহ
গ্রামবাসী জানায় আবুল কালাম ৬০ শতাংশ জমিন খরিদ করে উক্ত জমি ভোগদখলে আছে। সমাজ বাসীর উদ্যোগে তা পরিমাপ করেও এর সত্যতা পাওয়াগেছে। অপর দিকে নুরুজ্জামান চৌধুরীর খরিদকৃত জমিন পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে।
নুরুজ্জামান অর্থ ও সম্পদে প্রভাবশালী হওয়ায় তারা গায়ের জোরে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। তার ছেলে বাহারের নেতৃত্বে এলাকায় মাদক ও জুয়ার আড্ডা ও নারীদের ইভটিজিং এর ঘটনা একের পর এক ঘটতে থাকলেও কেউ ভয়ে নিরবে হজম করে চলছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নুরুজ্জামান চৌধুরীর
পুত্র বাহার গাছ কাটার ও মাদ জুয়ার আড্ডা বসানের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমরা মাঝে মধ্যে তাস খেলে থাকি। আর আমি জমি খরিদ করেছি আমার মাছের খামারে যাতায়াতের রাস্তার জন্য কিন্তু আবুল কালাম তাতে বাধা প্রদান
করে যাচ্ছেন। বর্তমানে আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলা চলমান আছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares