নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ভূঁইয়া বাড়িতে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রবাসী দুলাল হোসেনের উপর হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে আরেক প্রবাসী ভাই বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, দুলাল হোসেনের ভাই বেলাল হোসেন কয়েক বছর আগে বিদেশ যাওয়ার সময় টাকার প্রয়োজনে দুলালের কাছে তিন শতাংশ সম্পত্তি বিক্রি করেন। সে সময় তিনি রেজিষ্ট্রি অফিসে গিয়ে দলিলও সম্পাদন করেন। পরবর্তিতে বেলাল হোসেন তা অস্বীকার করে মাত্র ১ শতাংশ সম্পত্তি বিক্রি করেছেন বলে জানান। এ নিয়ে চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ বাচ্চুর নেতৃত্বে একাধিকবার শালিস হলেও সমাধান হয়নি। বিরোধের জেরে দুলাল হোসেনের উপর হামলার ঘটনাও ঘটে। এরিমধ্যে বেলাল হোসেন আদালতে দুলাল ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ফোজদারী ও দেওয়ানী মামলা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বেলাল হোসেন মামলায় দুলাল হোসেনের বসত ঘরও তার বলে মিথ্যা দাবী করেন। এতে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন প্রবাসী দুলাল হোসেন ও তার স্বজনরা। দুলাল হোসেনের ৬ ভাই বোনের মধ্যে ৫ জনেই বিষয়টি জানে এবং তাদের মধ্যস্থতায় ওই সময় সম্পত্তিটি ক্রয়-বিক্রয় হয়েছিলো। তাই বেলাল হোসেনের এমন আচরনে তারাও ক্ষুব্দ। তারাও বেলাল হোসেনের বিচার দাবী করেছেন।
প্রবাসী দুলাল হোসেন জানান, সম্পত্তি বিক্রির সময় আমার ভাই বাড়ির উপর ২ শতাংশ ও পুকুরে ১ শতাংশ মোট তিন শতাংশ সম্পত্তি বিক্রি করলেও এখন অস্বীকার করছেন। তিনি ঘর করার সময় আমি বাঁধা দেওয়ায় শালিসদারদের সিদ্ধান্তে কিছু জায়গা ছেড়ে দিলে আমাকে ৫০ হাজার টাকাও দেয়। যদি তিনি সম্পত্তি বিক্রিই না করেন তাহলে টাকা দিলেন কেন। তখনতো কিছ্ইু বলেননি। আমি চরম হয়রানির শিকার। ন্যায় বিচার পেতে আমি প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অপরদিকে অভিযুক্ত বেলাল হোসেন বলেন, আমি তখন অসুস্থ ছিলাম। আমি ১ শতাংশ বিক্রি করেছি। কিন্তু পরে দেখি ৩ শতাংশ জমি তারা লিখে নিয়েছে।
নরোত্তমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ বাচ্চু বলেন, আমরা একাধিকবার চেষ্টা করেছি বিষয়টি সমাধানের জন্য, কিন্তু সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply