লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নে ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া কিশোরী(১৪) প্রাইভেট শিক্ষক মহিন উদ্দিন(২০) কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
লাহারকান্দি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড চাঁদখালী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ধর্ষক একই এলাকার খোকনের ছেলে এবং একজন প্রাইভেট শিক্ষক।
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর পরিবার জানায়,ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী দীর্ঘদিন অভিযুক্ত ধর্ষক খোকনের কাছে প্রাইভেট পড়তো। প্রাইভেট পড়ানোর সুবাদে ধর্ষক খোকন ওই কিশোরীকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব, বিয়ের আশ্বাস এবং কু-প্রস্তাব দিতো। পরে ঐ কিশোরী তার মা কে এ বিষয়টি জানালে তাকে প্রাইভেট পড়াতে মানা করে দেয় ভোক্তভোগী কিশোরীর পরিবার।এর পরে কিশোরীর বাবা মায়ের অনুপস্থিতিতে গত রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় কিশোরীর বসত ঘরে ডুকে দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে একাধিকবার পালাক্রমে ধর্ষন করে। পরে পাশের বাড়ি কয়েকজন চেঁচামিচির শব্দ শুনে দেখে ফেলাত ধর্ষক দরজা খুলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় এবং এলাকা থেকে ঢাকা গিয়ে পলাতক রয়েছে জানায় স্থানীয়রা। ঘটনার পর থেকে বিষয়টি দামাচাপা দিতে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন মাতাব্বার উঠে পড়ে লেগেছে এবং ধর্ষকের বাবা খোকন মিয়া বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এ পর্যন্ত রেখেছে।
কিশোরীর পরিবার আরো জানায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরী পরিবার লোকলজ্জার কারনে সমাজে মুখ দেখাতে পারছে না।ধর্ষকের বাবা খোকন মিয়া এত দিন পর্যন্ত বিয়ের আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করলে ও বর্তমানে তিনি স্থানীয় মাতাব্বার দিয়ে অর্থের বিনিময়ে সমাধান করতে মরিয়া হয়ে পড়েছে।
ঘটনা জানা জানি হওয়ার পরে ধর্ষিতা কিশোরীর পরিবার থেকে একাধিকবার ধর্ষক মহিন উদ্দিন পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেও তারা তা অস্বীকার করে।
ঘটনাটি জানার পরে সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক মহিন উদ্দিনের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলতে গেলে ধর্ষকের বাবা মা বাড়ি থেকে সটকে পড়ে।
সর্বশেষ রবিবার (০৩ অক্টোবর) ভোক্তভোগী ধর্ষনের শিকার কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে আদালতে মামলা দায়ের করে।আদালত মামলা আমলে নিয়ে তদন্তবার পুলিশ অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সি আই ডি) প্রদান করে। মামালার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী ইফতেখার মাহমুদ ফয়সাল। মামলার পর থেকে আবার মরিয়া হয়ে উঠে ধর্ষকের বাবা খোকন মিয়া স্থানীয় মাতাব্বার দিয়ে বিভিন্ন পরিমানে টাকা প্রদান করবে বলে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য কিশোরীর পরিবার কে চাপ সৃষ্টি করছে বলে জানায় ভোক্তভোগীর পরিবার।
Leave a Reply