মো. ইসমত দ্দোহা :
চলমান স্থানিয় সরকার নির্বাচনী হওয়া লেগেছে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদেও। তারই ধারাবাহিকতায় সদর উপজেলার ১১ নং হাজির পাড়া ইউনিয়নেও চলছে প্রার্থীদের আগাম প্রচার -প্রচারণা, তেমনি একজন সম্ভাব্য প্রার্থী মিয়া নুরুল মোরছালিন মাছরুর।
বাবা মরহুম এ বি এম ছিদ্দিক উল্যা মিয়া ষাটের দশকে চেয়ারম্যান থাকাকালীন মানুষের কল্যাণে নিরলস ভাবে কাজ করেছেন। হাজিরপাড়া ইউনিয়নে কৃষি অফিস, পশু হাসপাতাল, কো-অপারেটিভ সোসাইটি অফিস এগুলো তাঁর আমলে হয়েছিল।
এছাড়াও হাজিরপাড়া হামিদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাকাকরণ, হাজিরপাড়া হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এর এসেম্বলী হল নির্মাণ, পূর্বের কেবি গার্লস স্কুল বর্তমান চর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছনের ঘর থেকে টিন শেডে রুপান্তর এসবই তাঁর আমলে হয়েছে।
পাশাপাশি অসংখ্য রাস্তা প্রশস্তকরণ, সাঁকো ও পুল নির্মাণ করেছিলেন তিনি। মরহুম এ বি এম ছিদ্দিক উল্যা মিয়ার
সেসব অবদানের কথা এখনো মানুষ কৃতজ্ঞতার সাথে স্বরণ করেন।
এরকম একজন জনপ্রতিনিধির যোগ্য উত্তরসূরী মিয়া নুরুল মোরছালিন মাছরুর সমাজসেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন।
এরশাদ পতনের পর ১৯৯১ সালে নৌকা প্রতীকে জীবনের প্রথম সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত হন। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য ফরম পূরণের মধ্য দিয়ে মিয়া নুরুল মোরছালিন মাছরুর নিরলসভাবে দলের জন্য কাজ করেছেন।
২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রাপ্ত মরহুম কাজী ইকবাল এর নৌকা মার্কার পক্ষে ১১ নং হাজিরপাড়া ইউনিয়নে প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন। দুই হাজার চার থেকে দুই হাজর আট সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। ১/১১ এর সময় ঢাকায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির লক্ষ্যে রাজপথে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন। বর্তমানে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
সামাজিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, চরমোহাম্মদপুর মিয়া বাড়ি জামে মসজিদ এর সহ-সভাপতি ও হাজিরপাড়া প্রি-ক্যাডেট স্কুলের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও হাজিরপাড়া ক্রীড়া সংঘ গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন।পাশাপাশি হাজিরপাড়া মোহাম্মদ (সঃ) পাঠাগার ও সেবা সংঘ, শিবপুর গোফরান স্মৃতি পাঠাগার ও শতদল ক্রীড়া সংঘ এর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগে নুরুল মোরছালিন মাছরুর পরিবারের অনেক অবদান রয়েছে। তার বড় ভাই এ বি এম শামছুল ওমর শামিম জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং চাচাতো ভাই মিয়া গোলাম ফারুক পিংকু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও তার চাচা মরহুম সুলতান আহামেদ মিয়া হাজিরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং মরহুম অজি উল্যা মিয়া উক্ত ইউনিয়ন এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।ক
রোনাকালে সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাসের সাহায্যে নুরুল মোরছালিন মাছরুর হাজিরপাড়া ইউনিয়নে তিন ধাপে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। এর মধ্যে ১৫’শ প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী, ২ হাজার মানুষকে শাড়ি লুঙ্গি এবং ১৫’শ মানুষের মাঝে ষোলশ কেজি খেজুর বিতরণ করেন।
দলীয় মনোনয়ন নিয়ে কতটা আশাবাদী এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিয়া নুরুল মোরছালিন মাছরুর মিডিয়াকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ হাজিরপাড়া ইউনিয়নের জনগণের জন্য কাজ করছি। এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, গরীব অসহায় মানুষকে সাহায্য প্রদান, ঈদ এবং বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করে আসছি। মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করি।আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য, দলের জন্য আমাদের পরিবারের যে ত্যাগ রয়েছে, সব মিলিয়ে আমি আশাবাদী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মূল্যায়ন করবেন।
হাজিরপাড়া গ্রন্থাগার এর সভাপতি ও সচেতন নাগরিক কবি মহিউদ্দিন কচি বলেন, মাছরুর তৃণমূল থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সে একজন সমাজ সচেতন মানুষ। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার মতো লোকের প্রয়োজন রয়েছে।
Leave a Reply