প্রতিদিনের খবর ডেস্ক :
আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌর সভা নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনী প্রতীক পেয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর এবং রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার ২০ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্য প্রার্থীরা।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) স্ব-স্ব নির্বাচন অফিস থেকে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর পরপরই প্রচারণায় নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। অনেক প্রার্থীর পক্ষে মাইকিং প্রচারণা শুরু করা হয়েছে। কেউ কেউ মোটরসাইকেল মহড়া দিচ্ছে।
পৌর কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা তাদের কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে জেলা নির্বাচন অফিসে আসেন প্রতীক নেওয়ার জন্য। প্রতীক ঘোষণার আনন্দ উল্লাস করে মিছিল নিয়ে তারা স্ব-স্ব এলাকায় প্রচারণা শুরু করেন।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মোজাম্মেল হোসেন মাসুম ভুঁইয়া নৌকা প্রতীক নিয়ে জুমার নামাজের পর থেকে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র পদে ৬জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দুইজন প্রার্থী প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। বাকী চারজন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এদের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোজাম্মেল হায়দার ভূঁইয়া মাসুমকে নৌকা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী জহির উদ্দিনকে হাতপাখা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. জাকিরুল আল মামুনকে মোবাইল ফোন এবং জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুর রহিমকে সিংহ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৭৯ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ২০ জনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বপন কুমার ভৌমিক বলেন, পৌর নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন বৃহস্পতিবার মেয়র পদে দুইজন এবং কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। শুক্রবার বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এদিকে জেলার রায়পুর উপজেলার ১০ ইউনিয়ন এবং রামগঞ্জ উপজেলার ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যদের মধ্যেও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, রামগঞ্জ উপজেলার ৯ ইউপিতে ৫০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এক ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী থাকায় তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউপিতে ৯১ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য পদপ্রার্থী এবং ৪২৬ জন সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে দুইজন এবং সাধারণ সদস্য পদে তিনজন বিনাপ্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
রায়পুর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকী ৭ ইউনিয়নের ১৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৮৬ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৮২ জনের মধ্যে প্রতীক দেওয়া হয়ছে। এ উপজেলাতে ৪ জন নারী সদস্য ও ৭ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply