লক্ষ্মীপুরের ১৮নং কুশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র ও হাতপাথা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৯ জন একজোট হয়েছেন। তাদের সবার এককথা, নৌকার প্রার্থী নুরুল আমিন ঠেকাও। তারা বলেন, আমরা নৌকার বিরুদ্ধে নই, আমরা সবাই ব্যক্তি নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে।
শনিবার চন্দ্রগঞ্জ থানা প্রশাসনের উদ্যোগে কুশাখালীতে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীসহ ৯জন প্রার্থী একই সুরে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বক্তব্য রাখেন।
সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে চন্দ্রগঞ্জ থানার সবচেয়ে আলোচিত এই ইউনিয়নে এবার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ১০ জন। এখানে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল আমিন (নৌকা)। অপরদিকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী ভোট করছেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান (ঢেল প্রতীক), ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম (আনারস প্রতীক), ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন (অটোরিকশা প্রতীক), আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান তৌয়ুব চৌধুরীর ছেলে মঞ্জুর আলম চৌধুরী (টেলিফোন প্রতীক), আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল করিম (চশমা প্রতীক), আওয়ামীলীগ সমর্থিত টিটু মিয়া (স্বতন্ত্র, টেবিল ফ্যান প্রতীক), বিএনপি সমর্থিত সালাহউদ্দিন মানিক (ঘোড়া প্রতীক), বিএনপি সমর্থিত অপর প্রার্থী অধ্যাপক রাফি নাহিদ (মোরটসাইকেল) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলের প্রার্থী মাওলানা নুরুল আলম (হাতপাখা প্রতীক)।
এই ইউনিয়নে সবচেয়ে আলোচিত আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুর রহমান (ঢোল প্রতীক) ও মো. জাহাঙ্গীর আলম (আনারস প্রতীক) তারা বলেন, নৌকার বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অবস্থান নেই। আমাদের অবস্থান নৌকার প্রার্থী নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে। তিনি বিগত ৫ বছর ইউনিয়ন পরিষদকে নিজের ব্যক্তিগত অফিস বানিয়ে রেখেছেন। আমাদের কাউকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ঢুকতে দেননি।
এছাড়া ভূমিহীনদের প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প জমি ও ঘর বরাদ্দের নামে বহু নিরীহ মানুষের থেকে টাকা নিয়ে তাদেরকে ঘর দেননি। বিভিন্ন সালিশের নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেছেন, তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফেরত দেননি এমন অভিযোগ করেন তারা। এসময় তারা কুশাখালীর ১ থেকে ৭ নম্বর পর্যন্ত সবগুলো কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে প্রশাসনের কাছ অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আমিন তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ইনশাল্লাহ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবো।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৬ ডিসেম্বর তারিখে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন।
Leave a Reply