শিরোনাম:
পাঁচপাড়া আদর্শ সমাজ কল্যাণ পাঠাগার মিনিবার ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন হানিফ মিয়াজীর বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন চন্দ্রগঞ্জে নিরাপদ সড়ক চাই উপলক্ষে বণার্ঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা চন্দ্রগঞ্জে “শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের” নতুন কার্যালয় উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের মতবিনিময় সভা লক্ষ্মীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত -৩, আহত ২০জন কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যাল কলেজ সভাপতির আগমন উপলক্ষে আনন্দ মিছিল লক্ষ্মীপুরের পাঁচপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত অপরাধ কমাতে সিসিটিভি ক‍্যামেরার ভূমিকা চন্দ্রগঞ্জ দলিল লেখক কল্যান সমিতির সভাপতি কাউছার, সম্পাদক মহিন

চাঁদে অবতরণ করতে গিয়ে ধ্বংস হল ইসরায়েলি মহাকাশযান

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০১৯
  • 253 Time View

প্রতিদিনের খবর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক :

ইসরায়েলের একটি মহাকাশযান চাঁদে ‘অবতরণ’ করার আগেই ইঞ্জিনের ত্রুটির জন্য চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে।

এই মিশনটি ছিল চাঁদে ইসরায়েলের প্রথম অভিযান, আর ব্যক্তিগত অর্থে পরিচালিত প্রথম চন্দ্রাভিযান। এর আগে কেবল সরকারি উদ্যোগ ও অর্থায়নে চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।

মূলত ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠানো এবং কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোই ছিল ইসরায়েলি চন্দ্রযানটির মূল কাজ।

এর নাম দেয়া হয়েছিল ‘বেয়ারশিট’। হিব্রু শব্দ বেয়ারশিট-এর অর্থ ‘প্রারম্ভ’। ইসরায়েলের এই চন্দ্রাভিযানের জন্য মোট খরচ ধরা হয়েছিল ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি মার্কিন ডলার।
সঠিকভাবে চাঁদের বুকে যান অবতরণ করানো – যাকে বলা হয় সফট ল্যান্ডিং – তাতে সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ছাড়া আর কেউই সফল হয়নি। ইসরায়েল আশা করেছিল তারা হবে এ কাজে সফল হওয়া চতুর্থ দেশ।

বেয়ারশিট একটি যৌথ প্রকল্প। এতে যৌথভাবে কাজ করছে বেসরকারি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান স্পেসসেল এবং ইসরায়েল এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ বা আইএআই।

স্পেসসেল-এর প্রতিষ্ঠাতা মরিস কান বিবিসিকে এক সাক্ষাত্‍কারে আগেই জানিয়েছিলেন যে, চাঁদে অবতরণ করাটা হবে বেশ চ্যালেঞ্জিং একটি ব্যাপার।

মহাকাশযানটি ধ্বংস হয়ে যাবার পর কান বলেন, “আমরা সফল হইনি, তবে আমরা চেষ্টা করেছি। আমরা যে পর্যন্ত যেতে পেরেছি সেটাও একটা দারুণ ব্যাপার, আমরা এ জন্য গর্ববোধ করতে পারি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীও ‘আবার চেষ্টা করার’ কথা বলেছেন।

সাধারণত, পৃথিবী থেকে চাঁদে পৌঁছানো কয়েক দিনের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু বেয়ারশিটের সময় লেগেছে কয়েক সপ্তাহ। গত ২২শে ফেব্রুয়ারিতে এটি ফ্লোরিডা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল।

এত দীর্ঘ সময় লাগার পেছনে মূল কারণ হলো পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ৩ লাখ ৮০ হাজার কিলোমিটার হলেও বেয়ারশিট পাড়ি দিয়েছে এরচেয়ে আরো ১৫ গুণ বেশি পথ। বেয়ারশিট পৃথিবীর কক্ষপথেও কয়েকবার চক্রাকারে ঘুরেছে।

বেয়ারশিট-এর অবতরণ নিয়ে কর্তৃপক্ষ বিশেষ চিন্তিত ছিল। কারণ তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ‘সফট ল্যান্ডিং’ বা মহাকাশযানের কোনো ক্ষতি না করে নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করা।

কিন্তু তাদের সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি। ইয়েহুদে আইএআই-এর কমান্ড সেন্টারের বাইরে চাঁদে অবতরণের সরাসরি দৃশ্য টিভিতে দেখতে লোক জড়ো হয়। কিন্তু যখন ঘোষণা করা হলো যে অবতরণ সফল হয়নি – তখন দর্শকদের মধ্যে হতাশাসূচক আর্তনাদ শোনা যায়।

চন্দ্রপৃষ্টে বেয়ারশিটের প্রথম কাজ ছিল, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা ব্যবহার করে ছবি তোলা এবং সেগুলোকে পৃথিবীতে পাঠানো।

ঠিকঠাক মত অবতরণ করতে পারলে বেয়ারশিটের সেলফিও তুলে পাঠানোর কথা ছিল। ছবি তোলার পর এটি অনুসন্ধান কাজে মনোনিবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু অবতরণের আগেই বিধ্বস্ত হওয়ায় অনুসন্ধান আর হয়নি। তবে বিধ্বস্ত হবার আগেও ছবি তুলে পঠিয়েছে বেয়ারশিট।

এই মিশন নিয়ে আগেই বলা হচ্ছিলো যে, এটি খুব বেশি দিন স্থায়ী হবে না। ধারণা করা হচ্ছিলো, এটির স্থায়িত্ব হবে পৃথিবীর হিসেবে কয়েক দিন। কারণ চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা অত্যধিক এবং সূর্য উদিত হলে যে তীব্র উত্তাপ ছড়াবে তা মহাকাশযানটির পক্ষে খুব দীর্ঘক্ষণ সহ্য করা সম্ভব নয়।

এই মিশনের সবচেয়ে উল্লেখ যোগ্য দিক হচ্ছে এটি ছিল সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগ এবং কম খরচে করা একটি মিশন। তাই, এই চন্দ্রাভিযানটিকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছিলো।সুত্র: সময়ের কন্ঠস্বর

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares