শিরোনাম:
পাঁচপাড়া আদর্শ সমাজ কল্যাণ পাঠাগার মিনিবার ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন হানিফ মিয়াজীর বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন চন্দ্রগঞ্জে নিরাপদ সড়ক চাই উপলক্ষে বণার্ঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা চন্দ্রগঞ্জে “শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের” নতুন কার্যালয় উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের মতবিনিময় সভা লক্ষ্মীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত -৩, আহত ২০জন কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যাল কলেজ সভাপতির আগমন উপলক্ষে আনন্দ মিছিল লক্ষ্মীপুরের পাঁচপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত অপরাধ কমাতে সিসিটিভি ক‍্যামেরার ভূমিকা চন্দ্রগঞ্জ দলিল লেখক কল্যান সমিতির সভাপতি কাউছার, সম্পাদক মহিন

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে বিশ্বনেতৃত্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, মে ২৭, ২০২১
  • 305 Time View

প্রতিদিনের খবর ডেস্ক :

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে এখন আর কোনো সংশয় নেই। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। অনেক দেশেরই উপক‚লীয় নিম্নাঞ্চল সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে গেছে। বাংলাদেশের উপক‚লীয় নিম্নাঞ্চলেও তার প্রভাব ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। চলতি সপ্তাহেও পূর্ণিমার জোয়ারে বাঁধ উপচে সাতক্ষীরার বেশ কিছু গ্রাম তলিয়ে গেছে। উপক‚লীয় অনেক শহরও প্রায়ই জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। লবণাক্ততার কারণে ফসল ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলে খরা প্রবণতাও ক্রমেই বাড়ছে। বদলে যাচ্ছে বৃষ্টিপাতের ধরন। বাড়ছে বন্যা-ঝড়-জলোচ্ছাসের পরিমাণ ও তীব্রতা। দেশি-বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠানের গবেষণায়ও উঠে এসেছে বাংলাদেশের সামনে থাকা ঝুঁকিগুলো। বিশ্বব্যাংকের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের তিন-চতুর্থাংশ বা ১৩ কোটির বেশি মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক নিচে নেমে যাবে। অথচ কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানো কিংবা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তার ক্ষেত্রে ধনী দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি যেমন কম, তার চেয়েও কম হচ্ছে প্রতিশ্রুতি রক্ষার তাগিদ। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ুযুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের এপ্রিল সংখ্যায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, ঐক্যবদ্ধ না হলে জলবায়ুযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত।

এ বছরের শেষ দিকে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত হবে ২৬তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৬)। তার আগেই উন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর সুস্পষ্ট পরিকল্পনা প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা ৪৮টি উন্নয়নশীল দেশের জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামেরও (সিভিএফ) নেতা। তিনি ওই জলবায়ু সম্মেলনকে অর্থবহ করতে সিভিএফ-কপ-২৬ ঐক্যেরও আহবান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, কপ-২৬ সম্মেলনের আগে আগামী ২২ ও ২৩ এপ্রিল একটি জলবায়ু সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০ জন বিশ্বনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ডিপ্লোম্যাটে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “বাংলাদেশকে বলা হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ‘গ্রাউন্ড জিরো’। এরই মধ্যে ৬০ লাখ বাংলাদেশি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুহারা হয়েছে। তার পরও আমরা এক কোটি ১০ লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করে চলেছি, আর সে জন্য আমাদের পরিবেশগত মূল্যও দিতে হচ্ছে। এর ক্ষতিপূরণ আমাদের কে দেবে?”

শিল্প বিপ্লবের পর থেকে অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন আজ যে মাত্রায় পৌঁছেছে, তাতে সিভিএফভুক্ত ৪৮টি দেশের অবদান অতি নগণ্য। ৮০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী জি-২০ভুক্ত দেশগুলো। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সিভিএফভুক্ত দেশগুলো। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, বড় অর্থনীতির দেশগুলো প্যারিস সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়নের জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিলে বাস্তবে তহবিল পাওয়া গেছে এর চেয়ে অনেক কম। এসব কারণে কপ-২৬ সম্মেলনে ঢাকা-গ্লাসগো-সিভিএফ-কপ-২৬ ঐক্যের যে ঘোষণা আশা করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, তা অত্যন্ত যৌক্তিক। আমরা আশা করি, বিশ্বনেতৃত্ব জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বিশ্বকে রক্ষায় আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares