প্রতিদিনের খবর ডেস্ক :
দুই দশক পর আবারও কাবুলে ফিরে এলো তালেবান। কাবুলের পতন, আফগান প্রেসিডেন্ট প্যালেস নিয়ন্ত্রণে নেওয়া, প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে পালানো- এসব ঘটনার পর ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে তালেবান। খবর রয়টার্সের।
তালেবান মুখপাত্র মোহাম্মদ নাইম আফগান যুদ্ধ অবসানের ঘোষণা দিয়ে বলেন, তাদের শাসন পদ্ধতি ও কাঠামো শিগগিরই স্পষ্ট করা হবে। শান্তিপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, তালেবান বিচ্ছিন্ন থাকতে চায় না।
তিনি বলেন, কোনও কূটনৈতিক কাঠামো কিংবা কোনও কার্যালয়কে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়নি। সব কূটনীতিক মিশন এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
তালেবানের এই মুখপাত্র আরও বলেন, আমরা চেয়েছিলাম দেশের স্বাধীনতা ও জনগণের মুক্তি, সেই লক্ষ্যে পৌঁছেছি। তালেবান মনে করে না বিদেশি কোনো বাহিনী আফগানিস্তানে তাদের ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি ঘটাবে।
এদিকে, দেশ ছাড়ার পর রবিবার (১৫ আগস্ট) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে পেজে এর কারণ জানান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। তিনি উল্লেখ করেন, রক্তের বন্যা এড়াতে দেশ ছাড়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আশরাফ ঘানি বলেন, আমার উচিত ছিলো সশস্ত্র তালেবানের মুখোমুখি হওয়া। অথবা গত ২০ বছর ধরে যে দেশকে রক্ষা করতে জীবন উৎসর্গ করেছি, সেই প্রিয় দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া।
তালেবান যোদ্ধাদের মুখোমুখি হওয়ার পরিস্থিতির বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, এতে অগণিত দেশবাসী মারা যেতো। ধ্বংসের মুখোমুখি হতো কাবুল শহর। তালেবানরা কাবুলের মানুষের ওপর হামলা করতো। তাই রক্তের বন্যা এড়াতে দেশ ছাড়াকে শ্রেয় মনে করি।
তিনি আরও বলেন, তালেবানরা তলোয়ার ও বন্দুকের বিচারে জিতে গেছে। ইতিহাস কখনো অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধতা দেয়নি এবং দেবেও না। আমি সব সময় আমার জাতির সেবা করে যাবো।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান তালেবানের শাসনে ছিলো। এর মধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট সেখানে যৌথ অভিযান চালায়, যার মাধ্যমে তালেবান শাসনের অবসান ঘটে।
Leave a Reply