মোঃ ইসমত দ্দোহা, ঢাকা :
বিগত বছরের সকল গ্লানি মুছে যাক মঙ্গল শোভা যাএার পদধূলিতে। ১৪২৬, বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা সবাইকে।
১৬শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে সম্রাট আকবর বাংলা ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন। হিজরী সন ও ইংরেজী তারিখের হিসেবের সাথে ভারতীয় উপমহাদেশের ঋতু -বৈচিত্রের মিল না থাকায় চাষাবাদ আর খাজনা আদায়ে অসুবিধা হওয়ায় প্রজাদের সুবিধার্থে ও শ্রদ্ধাশীল হয়ে সম্ভবত ১৫৮৪ সালে “তারিখ -ই -এলাহী “নামে একটি ক্যালেন্ডার চালু করেন সম্রাট আকবর। সেই থেকে শুরু হয়ে আজ অবধি খুব উৎসবের সাথেই বাংলার আকাশে -বাতাসে মুখরিত থাকে বৈশাখীর আনন্দ উৎসব। যদিও আমরা এর উৎপত্তি কিংবা সম্রাট আকবরের কথা এখন আর একবারও মনে করিনা বাংলা নববর্ষ উৎযাপনের সময়, হয়তো তা আমাদের অকৃতজ্ঞা কিংবা আমরা জানিনা, হয়তোবা জানার চেষ্টাও করিনা। সেটা হয়তো আমাদের ব্যর্থতা।
কিন্তু কেন জানি এবারের উৎসবটা আমাদের জাতীয় জীবনে বিশাল এক পোড়াক্ষত হাজির হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতেই ঢাকার চকবাজারের চুড়হাট্রার আগুনে ৭১জন, বনানীতে ২৬ জনের জীবন্ত দাহ না শুকতেই গুলশান কাঁচাববাজারের আগুনে ব্যবসায়ীদের কোটি টাকার হৃদয় পোড়া গন্ধ শেষ না হতেই ফেনীর সোনাগাজী আলীয়া মাদ্রাসার আলীম পরীক্ষার্থী “নুসরাতের “পোড়া দেহের আত্ম -চিৎকার ৫৬ হাজার বর্গমাইলের আকাশে -বাতাসে ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে ছড়িয়ে দিয়েছে ভয়াবহ নির্মম এক পোড়া চিহ্ন, যা কালবৈশাখীর তীব্র ঝড়েও ধুয়ে যাবেনা।
নুসরাতের পোড়া দেহের গন্ধ উড়িয়ে দিয়েছে স্বদেশের আকাশে বিচারহীনতার এক নগ্ন পরিচয়। আমরা জানিনা এ পোড়া গন্ধ নুসরাতেই শেষ নাকি আগামীকাল আরও পোড়া দেহের অপেক্ষায় থাকবে প্রিয় স্বদেশ।
Leave a Reply