প্রতিদিনের খবর ডেস্ক:
টানা নয় দিন স্থগিত থাকার পরে সৌদি আরবে চালু হচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট। বিমানের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে আজ শনিবার তিনটি ফ্লাইট ছেড়ে যাবে। বিকাল সাড়ে ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের দাম্মামের উদ্দেশে একটি ফ্লাইটটি ছেড়ে গেছে। সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় জেদ্দার উদ্দেশে দ্বিতীয় ফ্লাইট এবং আজ রাত ৩টা ২০ মিনিটে রিয়াদের উদ্দেশে বিমানের তৃতীয় ফ্লাইট ছেড়ে যাবে।
এর আগে ২৯ মে থেকে সৌদিগামী সব ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দিয়েছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
গত ২৩ মে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম-জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, সৌদি আরবে হোটেল ও কোয়ারেন্টিন প্যাকেজ সুবিধা নিশ্চিত করে ২৯ মে থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
সেই ঘোষণার প্রেক্ষিতেই আজ সৌদির উদ্দেশে তিনটি ফ্লাইট বাংলাদেশ ছেড়ে যাবে। গত ২০ মে থেকে বাংলাদেশ থেকে প্রবাসী শ্রমিকদের প্রবেশে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করে সৌদি সরকার।
সৌদি সরকারের নতুন বিধি-নিষেধের মধ্যে রয়েছে- যারা করোনা ভাইরাসের টিকা নেননি, সৌদি আরবে প্রবেশ করলে তাদের নিজ খরচে সাত দিন হোটেলে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
যারা ফাইজার-বায়োএনটেক, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন তারা হোটেলে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার বদলে বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকার সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে যারা পূর্ণ ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর পদ্ধতিতে পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ আসলেই কেবল যাত্রীরা ঢাকা থেকে সৌদি ফ্লাইটে উঠতে পারবেন। সৌদিতে পৌঁছানোর পর আরও দুবার করোনা পরীক্ষা করতে হবে।
সৌদির এসব কড়াকড়ি নিয়মে অসহায় অবস্থায় পড়েন বাংলাদেশি শ্রমিকরা। প্রস্তুতি নিতে না পারায় গত ২০ মে থেকে সৌদিগামী সব ফ্লাইট স্থগিত করেছিল বিমান বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে শনিবার বিমানের ওই কর্মকর্তা জানান, সৌদি আরবে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হোটেল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রবাসী শ্রমিকদের বিমানের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হচ্ছে।
সৌদি আরবগামী প্রবাসী শ্রমিকদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের হোটেল বুকিং খরচ বাবদ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এছাড়া বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন এড়াতে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে যাওয়ার আগেই শ্রমিকদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার সকালে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের একটি বড় ক্ষেত্র সৌদি আরব। কমপক্ষে ২৬ লাখ বাংলাদেশি কর্মী দেশটির বিভিন্ন খাতে কাজ করে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক সৌদি আরবে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।আজকালের খবর/
Leave a Reply